মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় 2022

আপনী কি জানেন? একজন মানুষ প্রতিদিন তার নিজের মোবাইল ফোন কতবার আনলক করেন। দিনে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ বার। যারা হয়তো পোষ্টটি পড়ছেন তারা মনে মনে ভাবছেন এই পোষ্ট অনুযায়ী সারাদিনে মাত্র ৮০ থেকে ১০০ বার। আমি তো সেই তুলনায় আরো বেশি আনলক করি। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে সব সময় আমরা নিজের প্রয়োজন ছাড়াও ফোন আনলক করে থাকি এবং প্রয়োজন ছাড়াও মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যখন আরাম অনুভব করিনা ঠিক তখনই মোবাইল নাড়া চাড়া করে সময় ব্যয় করতে পচ্ছন্দ করি।

এর থেকে আরো মজার বিষয় হচ্ছে যখন আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনা তখন আরাম অনুভব করিনা। আর এভাবেই কারণে অকারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে আসক্ত হয়ে পড়ি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর সারাদিনে আপনার ১০০% এনার্জি শরীরের মধ্যে তৈরী হয়ে যায় তবে ৫০% এনার্জি ক্ষতি করে ফেলে এই মোবাইল ফোনের স্ক্রীণটি। প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহারের ফলে একজন ব্যক্তি বুঝতে পারে যে, সে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। মোবাইল মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় জানতে সর্ম্পুণ পোষ্টটির পড়ে জেনে নিতে পারেন।

মোবাইল-রেডিয়েশন-থেকে-বাঁচার-উপায়-2022

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে একটি স্মার্ট ফোন ছাড়া কোনভাবেই চলা সম্ভব নয়। কারণ এই স্মার্ট ফোনটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কাজের জন্য সাহায্য করে। কিন্তু আপনার হাতে থাকা এই স্মার্ট ফোনটি স্মার্টভাবে ব্যবহার না করতে পারলে এই স্মার্ট ফোনটি ধীরে ধীরে আপনাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
 
মোবাইল রেডিয়েশন ৫টি ক্ষতিকর দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে বাঁচার উপায় জানে নিতে পারবেন। কেননা এই ৫টি টিপস্ অনুসরণ করে আমি নিজেও এই স্মার্ট ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি তাই আশা করা যায় আপনীও অনুসরণ করলে মুক্তি পেতে পারেন। 

মোবাইল-রেডিয়েশন-থেকে-বাঁচার-উপায়-2022

মোবাইল এলার্ম

নিজের মোবাইল এলার্ম হিসেবে কখনো ব্যবহার করবেন না। কারণ আপনী যখন আপনার মোবাইলে এলার্ম এর জন্য নির্ধারীত সময় সেট করেন, তখন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তৈরীকৃত এলার্ম বাজিয়ে প্রথমে প্রয়োজনীয় ব্যবহার শেষ করে দেয়, সেটি হল আপনার নিজের মোবাইল। আপনার প্রয়োজনীয় এলার্ম বন্ধ করা হয়ে গেলে সুন্দর এই স্মার্ট ফোনটিতে রাতের মধ্যে চলে আসা কিছু সুন্দর সুন্দর গেম বা অ্যাপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার সামনে জমা হয়ে থাকে। যাতে সেগুলি আপনী দেখার জন্য ওপেন করতে পারেন।

আর আমরা সেটিই করে থাকি। সকাল বেলা যে সময়ে আমাদের বাহিরের প্রকৃতি দেখা, ব্যায়াম করার প্রয়োজন, সেই সময় আমরা বিছানায় শুয়ে ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার সহ বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াতে অন্যের ছবিতে লাইক করে সময়টুকু মোবাইলের পিছনে ব্যয় করে থাকি। ঠিক এ কারণেই সকাল বেলা কিছুটা হলেও আমাদের কিছুটা হলেও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়।

তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার জন্য বাজারে থাকা এলার্ম ঘড়ি ঘরে রেখে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরী করতে পারেন। বিষয়টি একটু ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন আপনী অনেক উপকৃত হবেন।


মোবাইল-রেডিয়েশন-থেকে-বাঁচার-উপায়-2022

মোবাইল ফোন আনলক করা

মোবাইল ফোন কোন কারণ ছাড়া আনলক করা বন্ধ করতে হবে। একজন ব্যক্তি যদি ১০ বার ফোন আনলক করে তার মধ্যে হয়তো ২ বার কোন না কোন কাজ থাকতে পারে। তাছাড়া আর যে বাকি ৮ বার কোন কারণ ছাড়ায় ফোন আনলক করে থাকেন এই সমস্যাটি হলো আমাদের বড় সমস্যা। কাজের গতিবেগ সঠিক না থাকে তাহলে রাস্তা হারিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমরা কোন কারণে রাস্তায় কারোর জন্য অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকলে সেই সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি, সেই সময়ের মধ্যে আবার বাড়িতে ফিরার পরেও মোবাইল ব্যবহার করি। এছাড়াও মার্কেটে গেলেও মোবাইল ব্যবহার করতে থাকি। সব থেকে আরো একটি বড় বিষয় হচ্ছে এমন কিছু মানুষ আছে যারা বাথরুমে যাওয়ার সময় হলেই মোবাইল সঙ্গে নিয়ে বাথরুমে চলে যান।

কিন্তু এসব ব্যক্তি জানে না যে, কি কারণে এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছে। বাথরুম করা অবস্থায় কারো সাথে ফেসবুকে চ্যাটিং করছে আবার কারো সাথে হটস এ্যাপে কথা বলছে, ইউটিববে গান দেখছে। তবে চেষ্টা করতে পারেন কোন কারণ ছাড়া আপনী মোবাইল ফোন আনলক করার।


টাইম ইউজ অ্যাপ

আপনার মোবাইল ফোনটি যদি এন্ড্রয়েড ফোন হয়ে থাকে তাহলে টাইট ইউজ অ্যাপ ব্যাবহার করতে পারেন। কারণ এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে যখন আপনার মোবাইল আনলক করবেন ঠিক তখনই এই অ্যাপটি চালু হয়ে যাবে। এবং আপনী যতক্ষণ মোবাইল আনলক করে ব্যবহার করবেন ঠিক সেই সময়টুকু এই অ্যাপটি রেকর্ড করা শুরু করবে।

সেজন্য আপনী পরে বুঝতে পারবেন যে আপনী মোবাইল ফোনটি কতক্ষণ সময় ব্যবহার করেছেন। এভাবে আপনার সঠিক ধারণা আসবে আপনী কতক্ষণ মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছেন।

অ্যাপ আনইন্সটল করুন

অপ্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপ আনইন্সটল করতে পারেন। যাতে আপনাকে বিরক্ত করতে না পারে। এছাড়াও যে সমস্ত অ্যাপ এর নোটিফিকেশন বার বার আপনার মোবাইলে চলে আসে। এতে আপনার জানার ইচ্ছে হয় কি নোটিফিকেশন এসেছে। বিরক্ত যাতে না হয়ে যান সেই ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো রিমুভ করে দিতে পারেন।

এভাবেই আপনার মোবাইলের অযথা ব্যবহার কমে ফেলতে পারেন। যদি বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে মোবাইলের ডাটা কানেকশনটি বন্ধ করে রাখতে পারেন। তবে বেশিরভাগ সময় আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপএ কাজ করার চেষ্টা করবেন।

সপ্তাহে একদিন মোবাইল ফোন বন্ধ করা

আপনী যখন মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে নিজের কাছ থেকে দূরে রাখবেন ঠিক তখন আপনী মোবাইলকে বলছেন এটি একটি ব্যবহারিক যন্ত্র। যা আপনী নিজের চাহিদা অনুসারে কিছু সময় ব্যবহার করছেন। তবে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে মোবাইল ফোন ছাড়াও আপনী থাকতে পারবেন।

উপরে থাকা যে সমস্ত মোবাইল রেডিয়েশন ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো থেকে বাঁচার উপায়গুলো ব্যবহার করলে কোন প্রকার ক্ষতি না হওয়ার কথা। তবে আমরা সব সময় চেষ্টা করব নিজের ক্ষতি হয় এমন প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্র ব্যবহারের পর তা যথা স্থানে রেখে দেওয়ার। তাহলে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী হবে।

এছাড়াও আরো স্বাস্থ্য সুরক্ষার টিপস জানতে ভিজিট করতে পারেন...

Post a Comment

0 Comments