আমরা অনেকেই মনে করে থাকি বাংলাদেশ একটি গরীব দেশ। বাংলাদেশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা দিনে তিন বেলা তিন মুঠো ভাত সঠিকভাবে খেতে পায় না।
অথচ বাংলাদেশে এমন কিছু ধনী ব্যক্তি রয়েছে যাদের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানলে সত্যই অবিশ্বাসক বলে মনে হবে।
পূর্বের বছর অনুযায়ী ২০২১ সালে যে সব ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের তুলনায় ২০২২ সালে আরো অনেক গুণে বেড়ে গেছে। তাই এ বছরে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন কিছু ধনী ব্যক্তিদের নাম। সেই সব ধনী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ কি রকম সঠিক তথ্য জানতে পুরো পোষ্টটি পড়ে জেনে নিতে পারেন।

বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি রাগীব আলী
রাগীব আলী ২০২২ সালে বাংলাদেশের সেরা ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন রাগীব আলী। রাগীব আলী হচ্ছেন সিলেট জেলার অনেক বড় শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ১০ অক্টোবর ১৯৩৮ সালের সিলেটে বিশ্বনাথ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। বাল্যকাল থেকেই রাগীব আলী ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন।
রাগীব আলীর পিতা ছিলেন একজন কাঠুরিয়া। বাংলাদেশের অনেক বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে অসংখ্য জেলাগুলোতে রাগীব আলীর চা কোম্পানী অনেক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। ২০২২ সালে রাগীব আলীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাড়ীয়েছে প্রায় ২৭০ মিলিয়ান ইউএস ডলার বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে দাড়াবে প্রায় ২ হাজার ৭ শ কোটি টাকার থেকে বেশি।
রাগীব আলী পূর্বের সময়ে এরকম সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন না। রাগীব আলী জীবনের শুরুতেই একজন লেখক হিসেবে কাজ করতেন। তার পরে নিজের অনেক কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বর্তমান ২০২২ সালে এ রকম সস্পত্তির মালিক হয়েছেন।
তিনি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটি সহ অন্যান্য ধমীয় প্রতিষ্ঠান এবং ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান নির্মানের পিছনে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বর্তমান সময়ে রাগীব আলীর অনেক বড় বড় ৪টি চা বাগান রয়েছে।
এই ৪টি চা বাগানের মূল্য প্রায় ৮ শত কোটি টাকা। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে একটি বড় চা বাগান রয়েছে মাল্লিচর চা বাগান বর্তমানে এই চা বাগানের মালিক রাগীব আলী। তবে রাগীব আলীর নামে কিছু অভিযোগও রয়েছে, তিনি ভূমি দখল চা বাগান দখল এবং নিজের ক্ষমতার জোরদার করা ছিল প্রত্যেক দিনের কাজ।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি ইকবাল আহমেদ
বর্তমান ২০২২ সালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন ইকবাল আহমেদ। তিনি ব্রিটিশদের সাথে ব্যবসা করছেন। ৪ আগস্ট ১৯৫৬ সালে সিলেট বিভাগ এর ওসমানী নগর উপজেলা ইকবাল আহমেদ এর জন্ম। ইকবাল আহমেদ বর্তমানে লন্ডন ম্যানসস্টলে বসবাস করেন।
বর্তমান ২০২২ সালে ইকবাল আহমেদ এর মোট সম্পত্তির পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় ২ শত ৯০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকা প্রায় ২৯ শত কোটি টাকা।
ইকবাল আহমেদ ব্রিটিশদের সাথে শুধুমাত্র চিংড়ী মাছের ব্যবসা করে বর্তমানে এই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ইকবাল আহমেদ এর বর্তমানে চিনার্ক এবং ইক্ষু নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি এই দুটি কোম্পানিগুলোতে শিপিং, রিয়ালস্ট্রেড, হোটেল খাদ্য এবং হাসপাতাল নিয়ে ব্যবসা করেন তিনি।
তিনি এই দুটি কোম্পানীর মাধ্যমে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। ইকবাল সাহেব বৃটিশ এবং বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে বর্তমানে র্শীষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি মহীউদ্দীন খান আলমগীর
বাংলাদেশের সেরা ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ২০২২ সালে মহীউদ্দীন খান আলমগীর ৮ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, লেখক, মন্ত্রী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং রাজনীতিবিদ।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর ২০১২ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী পদে ছিলেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে শান্তির নেতা বলা হয়।
১৯৪২ সালে মহীউদ্দীন খান আলমগীর চাঁদপুর উপাজেলার কচুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট করেন এবং বস্টম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর ডিগ্রী লাভ করেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর এর বর্তমান ২০২২ সালে মোট সম্পত্তির পরিমান দাড়ায় প্রায় ৪ শত মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার মত।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি গিয়াসউদ্দিন আল মামুন
এ বছরের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে বাংলাদেশী একজন ব্যবসায়ী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তারেক রহমান এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ব্যবসায়ী হিসেবে একজন পার্টনার।
বর্তমান ২০২২ সালে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৪ শত ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাড়ায় প্রায় ৪ হাজার ২ শত কোটি টাকা।
তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতা চালিয়ে যাওয়ার কারণে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এর বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ অভিযোগ সহ অনেক মামলা খেয়েছেন। গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এর নামে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেও পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে। অনেকের ধারণা মতে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এর বিভিন্ন ফাইল নথি পত্র দুর্নীতি দমন কমিশন দ্বারা সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয় তাহলে এই ব্যক্তির নাম মামলার প্রথম পাতায় থাকবে।
গিয়াসউদ্দিন আল মামুন নামে মোট ৩টি মামলা দিয়েছে এবং ২০ বছরের জেল হয়েছে। এছাড়াও দুটি মামলা দেওয়া হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য ২০টি মামলায় জড়িত রয়েছেন জানা যায়।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি আহমেদ আকবর সোবহান
আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। বসুন্ধরা গ্রপের নাম বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ জানেন। এই গ্রুপের অনেক পণ্য সামগ্রী রয়েছে যেমন, সিমেন্ট, কাগজ, এলপিজি গ্যাস, টিস্যু সহ অনেক ধরণের পণ্য নিয়ে তিনি ব্যবসায় করে থাকেন।
বাংলাদেশী বিভিন্ন পত্রিকা এবং চ্যানেল প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের আওতাভুক্ত। তিনি ১৯৫২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রাক্ষণ বাড়ীয়ায় বানসারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বর্তমান ২০২২ সালে আহমেদ আকবর সোবহান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এর মোট সম্পত্তি দাড়িয়েছে প্রায় ৫ শত মিলিয়ন ইউএস ডলার বাংলা টাকা দাড়ায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আহমেদ আকবর সোবহান একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে এই ব্যক্তির অনেক অবদার রয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের অনেক গরীব এবং হতদরিদ্র মানুষের মাঝের সাহায্য দেওয়ার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি সৈয়দ আবুল হোসেন
এই পোষ্টের ৫ নম্বর তালিকায় রয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এই ব্যক্তি একজন রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ট সমাজ সেবক। তিনি ২০০৯ সালে যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১ অক্টোবর ১৯৫১ সালের মাদারীপুর জেলায় ডাসার উপজেলা জন্মগ্রহণ করেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি প্রথমে চাকুরী জীবনে পা রেখেছিলেন পরে তিনি ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি সাইকে ইন্টারন্যাশনাল এবং সাইকো এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়ার গোয়াও ফোরাম প্রতিষ্ঠানের সদস্য প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন। পদ্মাসেতুর দুর্নীতি বিষয়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগ জানায়। এছাড়াও সৈয়দ আবুল হোসেন এর নামে অনেক দুর্নীতি মূলক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলে যানা যায়।
তবে এসব কার্যকলাপ বিষয়গুলোর এই পর্যন্ত সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সৈয়দ আবুল হোসেন এর সম্পদের পরিমাণ জানা যায় প্রায় ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাংলা টাকা তা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ জয় তিনি বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং শেখ মুজিবুর রহমান এর নাতনী। এছাড়াও সজিব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের আইসিটির উপদেষ্ঠা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
সজীব ওয়াজেদ জয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ২৭শে জুলাই মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা ইলিভার্সিটিে একসেসে এলিংটন থেকে কম্পিউটার সাইন্সে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে বাংলাদেশের টেলি কমিউনিকেশন এর সহ কয়েকটি বিষয়ে প্রধান এ্যাডভাইজার। বাংলাদেশের ৪ নম্বর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে সজীব ওয়াজেদ জয় এর মোট সম্পদের পরিমান প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশী টাকা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি তারেক রহমান
তারেক রহমান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তিনি বাংলাদেশের একজন রানীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে যুক্ত রয়েছেন।
১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর তারেক রহমান জন্মগ্রহণ করেণ। তারেক ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।পরে তিনি সেন্ট জোসেফ কলেজ ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজে লেখাপড়া করেন।
১৯৮৪ সালে তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে আইন বিষয়ক বিভাগে এবং পরে লোক প্রশাসন বিভাগে পড়াশোনা করার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি স্নাতক শ্রেণির পড়াশোনা পুরোপুরীভাবে শেষ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে তারেক রহমান নিজের পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছিল বস্ত্রশিল্প এবং নৌ-যোগাযোগ খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেন।
বর্তমানে তিনি লন্ডনের ১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে তারেক রহমান এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তি সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের ২নম্বর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি একজন বাংলাদেশের বিনিয়োগ বিষয়ক এর উপদেষ্ঠা, সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি। ১৯৫১ সালে ২৩ মে মাসে ঢাকা দোহার উপজেলা জন্মগ্রহণ করেন। সালমান এফ রহমান পাকিস্তানের ইউনিভারসিটি অফ করাচি থেকে গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করেন।
তিনি ১৯৭২ সালে বেক্সিমকো কোম্পানী এক্সপোর্ট ইনপোর্ট গড়ে তোলেন। বেক্সিমকো কোম্পানী ইউরোপে বিভিন্ন সামদ্রিক মাছ এবং হাড়ের পুরাসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্যসামগ্রী রপ্তানী করে থাকে। এসব অর্থ বিনিয়োগে এর মাধ্যমে ঔষধ আমদানী করে থাকত।
১৯৭৬ সালে সালমান এফ রহমান ও তার ভাই সহ বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পনী প্রতিষ্ঠা করেছেন। বেক্সিমকো কোম্পানীতে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ তৈরী করে থাকে।
বেক্সিমকো কোম্পানী বাংলাদেশের ঔষধ তৈরীতে অন্যান্য কোম্পানীর তুলানায় অন্যতম। তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিন চ্যানেলের বর্তমা মালিক। সালমান এফ রহমান কে নিয়েও অনেক প্রকার তর্ক বিতর্কের দ্বিমত নেই। তবে সালমান এফ রহমান বর্তমান সম্পদের পরিমন প্রায় ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
তিনি শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন। এসব বিষয়ে সালমান এফ রহমান এর বিষয়ে অনেক অভিযোগ জানা যায়। এছাড়া সালমান এফ রহমান এর নিজস্ব হেলিকপ্টার রয়েছে এবং কোন কাজে সেই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তিনি।
বাংলাদেশের সেরা ধনী ব্যক্তি মুসা বিন সমসের
২০২২ সালে বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে মুসা বিন সমসের। মুসা বিন সমসের বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি। ১৫ অক্টোর ১৯৪৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ফরিদপুর নামে একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মুসা বিন সমসের অনেক কম বয়স থেকেই ব্যবসায়া শুরু করেছিলেন।
মুসা বিন সমসের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী তাছাড়াও ড্যাটকোনামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রিন্স মুসা বিন সমসের এর বর্তমান সম্পদ প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। তিনি ব্যক্তিগতভাবে পদ্মাসেতুন নির্মানের জন্য টাকা বিনিয়োগ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। তাহলে বুঝুন কি পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক এই মুসা বিন সমসের।
সবশেষে বলা যায় কি রকম কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রেষ্ট ১০ ধনী ব্যক্তিদের ইনকাম করা সম্পদের পরিমাণ ভালো লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ
0 Comments
Do not share any link