বেগম পাড়া নামক স্থানটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সকলেরই অজানা। তবে কানাডায় টরন্টোতে এই বেগম পাড়া নামক স্থানে ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে চলে আসা কিছু অসাদু ব্যবসায়ী, কালো টাকা আত্মাসতকারী ও দুর্নীতিবাজ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তাদের স্ত্রী সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়ে তাদের প্রেরিত অবৈধ্য অর্থের মাধ্যমে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন।
বেগম পাড়া
গণমাধ্যমের কল্যাণে বাংলাদেশে বেগম পাড়া শব্দটি প্রাই উচ্চারিত হয়ে থাকে। কানাডায় বিশেষ অঞ্চলে যুক্ত হয়েছে অর্থ পাচার, অর্থ লুট শব্দগুলো। বলা হয় বাংলাদেশের দুর্নীতির মাধ্যমে বৃহৎ সম্পদের মালিক হওয়া অনেক অসাদু ব্যবসায়ী, আমলাকারী, রাজনীতিবীদ তাদের স্ত্রী সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছেন এই কানাডায়।
বর্তমানে বেগম পাড়া নামে কানাডায় কোন জায়গার নাম আছে বলে মনে হয় না। এক কথায় বলা যায় বেগম পাড়া নামে কানাডায় কোন জায়গার নাম নেই।
বেগম পাড়া শব্দের অর্থ
আসলে বেগম পাড়া শব্দটি এসেছে বেগম পুরা নামে কোন একটি ফ্লিম থেকে। কানাডায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা কিছু বিলাসবহুল বাংলাদেশি অবৈধ্যভাবে কালো টাকা পাচারকারীদের বাড়ীগুলোকে বেগম পাড়া নামে বাড়ি হিসেবে ডাকা হয়ে থাকে। স্বামীদের অনুপস্থিতিতে কানাডায় স্ত্রীদের নিঃসংঙ্গ জীবন ও কঠিক জীবন সংগ্রাম নিয়ে এক ইন্ডিয়ান পরিচালক রশ্মিলম্বা তৈরি করেছিলেন একটি ফ্লিম।
সেই ফ্লিমের নাম দেওয়া হয় বেগম পুরা দ্যা ওয়াইল্ড স্কোলোনী আর এই ফ্লিমের কাহিনি সুত্র ধরেই সেখানকার পত্রিকাতেও সচারচর প্রকাশিত হতে লাগলো বিভিন্ন ধরণের প্রতিবেদন। সেই সাথে বাংলাদেশীদের মধ্যেও পরিচিতি পেয়ে গেলো বেগম পাড়া শব্দটি।
বেগম পাড়া বেগমদের বিলাসবহুল জীবন
তবে উল্লেখ্য বিষয় হচ্ছে বেগম পুরা বেগমদের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু বেগম পাড়ার বেগমদের অনেকভাবে পরিবর্তন রয়েছে। ফ্লিমের বেগম পুরা বেগমদের স্বামীরা অনেকেই পেশাজীবি। তবে মধ্য প্রাচ্যে পরিশ্রম করে সেই অর্থ কানাডায় পাঠাচ্ছেন তাদের পরিবারের ভরণ পোষনের জন্য।
এদিকে আমরা যে বেগম পাড়ার কথা বলে থাকি সেটি কেবল অনেক ভিন্নঅর্থে। যেখানে দুর্নীতির কালো টাকা এবং লুটপাটের মাধ্যমে তৈরিকৃত সম্পদ কানাডায় অবৈধ্যভাবে পাচার করে সেখানে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন বাংলাদেশি দুর্নীতিবাজ কিছু মানুষের পুরো পরিবার।
বেগম পাড়ার বাড়ীর মূল্য
কানাডায় যে সব বাড়ীগুলো রয়েছে পূর্বের মূল্য অনুযায়ী বর্তমানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এসব বাড়ীগুলো দ্বিগুণ পরিমাণ মূল্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের কিছু অসাদু ব্যবসায়ী, কালো টাকা আত্মসাতকারী, দুর্নীতিবাজ পরায়ণ এবং রাজনীতিবীদ ব্যক্তিদের জন্য হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা কোন প্রকার লোন ছাড়া বিলাসবহুল বাড়ীগুলো ক্রয় করছেন। এসব বাড়ীগুলো নিজের পকেটে থাকা আত্মসাতকারী কালো টাকা দিয়ে সর্ম্পূভাবে পরিশোধ করে বাড়ীগুলো কিনেছেন।
এ সব টাকা গুলো কানাডায় পাচার করেছেন সম্পূর্ণ অবৈধ্যভাবে। সেক্ষেত্রে এসব ব্যক্তিদের বিলাসবহুল বাড়ীগুলোকেই বলা হয় বেগম পাড়া বাড়ী হিসেবে। বাংলাদেশর অসাদু ব্যবসায়ী, আমলা, দুর্নীতিবাজ, কালো টাকা আত্মসাৎকারী, রাজনীতিবীদ ব্যক্তিরা কানাডায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার দিয়েও এসব বিলাসবহুল বাড়ীগুলো ক্রয় করেছেন।
বেগম পাড়ায় বিলাসবহুল জীবন যাত্রা
বেগম পাড়া বেগমদের সন্তানদের জীবন অনেক বিলাসবহুল। বেগম পাড়ার বাসিন্দারা সহজে সাধারণ বাংলাদেশি মানুষদের সঙ্গে মিশতে দেখা যায় না। বেগম পাড়ার বেগমরা নিজেদের পরিবারের সম্মিলিত বজায় রেখে অন্যান্য পরিবারের সাথে মিশতে অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিছু অসাদু ব্যক্তির এই পরিবারগুলো রয়েছে ইন্ডিয়ান, চাইনিজ কমিউনিটি এবং পাকিস্তানী।
যারা নিজের মাতৃভুমি দেশে জন্ম গ্রহণ করেও নিজের দেশের অবৈধ্যভাবে পাচারকৃত কালো টাকা কানাডায় পাঠাচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল জীবন যাত্রা। বেগম পাড়ার এ সব অসাদু কালো টাকা পাচার কারিদের জন্য ভুক্তভোগি হতে হচ্ছে সাধারণ ক্ষেটে খাওয়া কানাডা বাসীদের।
পিকে হালদার
পি কে হালদার এখন তিনি ইন্ডিয়াতে আত্ম গোপন করে আছেন। পি কে হালদার একজন বাংলাদেশী কিন্তু বর্তমানে কানাডায় নাগরিক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা। বাংলাদেশের ৪টি অনেক বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘ দশ বছর ধরে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে ১১ হাজার কোটি টাকা লুট পাট করে নেন। সেই টাকা অবৈধ্যভাবে কানাডায় পাচার করে বর্তমান বেগম পাড়ায় বিবি বাচ্চাদের নিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন।
এসব অসাদু ব্যক্তিরা নিজের স্বার্থে দেশের চুরি করা জমানো অর্থ নষ্ট করতে দিধা বোধ করছেন না। এতে অবৈধ্যভাবে আমাদের দেশ অনেক অর্থ পাচার করার কারণে দেশের অবস্থা দিন দিন অনেক করুন অবস্থার সম্মুখহীন হয়ে পড়ছে।
1 Comments
খুবই দরকারী একটি পোস্ট, বাংলাদেশের সকর মানুষের বেগম পাড়া সম্পর্কে জানা উচিৎ
ReplyDeleteDo not share any link